খেয়েদেয়ে গতর খাটিয়ে, ভাবলাম একটা ব্যবসা শুরু করা যাক। মাথায় এল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলাপানদের খাওয়ানোর ব্যবসা মন্দ না। তাই, লেগে পড়লাম একটা "大学生餐饮业创业计划" বানানোর কাজে।
শুরুটা হল ভাবনা দিয়ে
প্রথমেই বসলাম খাতা-কলম নিয়ে। চিন্তা করলাম, কী খাওয়ানো যায়? পিৎজা, বার্গার, নাকি দেশি খাবার? নাকি সব মিলিয়ে একটা খিচুড়ি পাকিয়ে দেব? ভাবতে ভাবতে মাথা গরম হয়ে গেল।
বাজার-ঘাট, মানে মার্কেট রিসার্চ
তারপর গেলাম কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে। গিয়ে দেখি, পোলাপানরা গোগ্রাসে গিলছে। কেউ খাচ্ছে ভাত-ডাল, কেউ বা নুডলস। ভাবলাম, এদের রুচিটা তো বোঝা গেল। এবার নিজের মতো করে একটা মেনু দাঁড় করানো যাবে।
জায়গা খোঁজা আর সাজানো
এরপরে খুঁজলাম একটা ভালো জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই একটা দোকান পেয়ে গেলাম। দোকানটা মনের মতো করে সাজালাম। রংচং করলাম, টেবিল-চেয়ার বসালাম। দেখতে বেশ একটা ক্যাফে ক্যাফে ভাব চলে এল।
রান্নার লোক জোগাড়
তারপর, রাঁধুনি খুঁজতে বেরোলাম। চেনা পরিচিত কয়েকজনকে বললাম। শেষমেশ, দু'জন ভালো রাঁধুনি পেয়ে গেলাম। একজন দেশি খাবার বানাবে, আরেকজন ফাস্টফুড।
কাঁচামাল আর সাপ্লাই
এবার বাজার-সদাইয়ের পালা। চাল, ডাল, তেল, মশলা, সবজি – সবকিছুর জন্য একটা সাপ্লাই চেন ঠিক করলাম। পরিচিত কয়েকটা দোকানদারের সাথে কথা বলে রাখলাম, যাতে নিয়মিত জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
হিসাব-নিকাশ
খরচের হিসাবটাও রাখতে হবে। দোকান ভাড়া, রাঁধুনিদের বেতন, কাঁচামালের দাম – সব মিলিয়ে একটা বাজেট বানালাম। দেখলাম, ব্যবসাটা দাঁড় করাতে বেশ ভালোই খরচ হবে।
প্রচার-প্রচারণা
ব্যবসা শুরু করার আগে একটু প্রচার-প্রচারণা তো করতেই হবে। ফেইসবুকে একটা পেইজ খুললাম। বন্ধুদের বললাম শেয়ার করতে। ভার্সিটির আশেপাশে কিছু পোস্টারও লাগালাম।
শুরু হল পথচলা
অবশেষে, সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এল। দোকানের উদ্বোধন করলাম। প্রথম দিন থেকেই ভালো সাড়া পেলাম। পোলাপানরা এসে খেয়েদেয়ে খুশি। আমারও মনটা ভরে গেল।
কিছু সমস্যা, কিছু সমাধান
- প্রথম দিকে একটু সমস্যা হল। কাস্টমারদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল।
- তারপর, আস্তে আস্তে সব গুছিয়ে নিলাম।
- কয়েকজন ওয়েটার রাখলাম।
- মেন্যুতেও কিছু পরিবর্তন আনলাম।
এখন চলছে পুরোদমে
এখন ব্যবসা ভালোই চলছে। পোলাপানদের আনাগোনা লেগেই থাকে। মাঝে মাঝে ভাবি, ঠিকঠাক মতোই এগোচ্ছি।