হাঁ বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার করা একটা কাজ শেয়ার করবো। সেটা হলো, একটা হোটেলের রেস্টুরেন্টের ভেতরের সাজসজ্জার কাজ করেছিলাম, সেইটার গল্প বলি।
কাজটা যেভাবে পেলাম
আমার এক বন্ধুর পরিচিত একটা হোটেল চেইনের নতুন একটা শাখা খুলছিলো। তো, বন্ধুটি আমার কাছে এসে বললো, "দোস্ত, তুই তো ইন্টেরিয়রের কাজ করিস, এই হোটেলের রেস্টুরেন্টের ভেতরের ডিজাইনটা তুই করে দিতে পারবি?" আমি তো শুনে মহা খুশি, বললাম, "অবশ্যই! চল, দেখি কী করা যায়।"
প্ল্যানিংয়ের শুরু
প্রথমেই হোটেলের মালিক আর ম্যানেজারের সাথে বসলাম। তাদের ভাবনাগুলো শুনলাম, তারা কেমন চাচ্ছিলেন সেটা বুঝলাম। তারা চাইছিলেন, রেস্টুরেন্টটা যেন একটু আলাদা হয়, মানুষজন এসে যেন একটু অন্যরকম পরিবেশে খাবারের মজা নিতে পারে। মানে, শুধু খাওয়া না, একটা সুন্দর স্মৃতি নিয়ে যেন যায়।
রঙ-বেরঙের খেলা
আমি ভাবলাম, দেয়ালে কী রং দেওয়া যায়, কেমন আলো ব্যবহার করলে পরিবেশটা সুন্দর হবে, এইসব নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। দেয়ালে হালকা রঙের সাথে মানানসই কিছু পেইন্টিং ঝোলালাম। ভাবলাম, একটু অন্যরকম ছোঁয়া দেই।
আলোর জাদু
- আলোর ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
- টেবিলের ওপরে ঝুলানো ল্যাম্প লাগালাম।
- আলো-আঁধারির একটা পরিবেশ তৈরি করলাম, যাতে মানুষজন এসে আরাম করে বসতে পারে, গল্প করতে পারে।
আসবাবপত্র বাছাই
আসবাবপত্রের দিকেও নজর দিলাম। এমন চেয়ার-টেবিল বাছাই করলাম, যেগুলোতে বসে আরাম পাওয়া যায়। আবার, দেখতেও যেন সুন্দর হয়। হোটেলের মালিক বললেন, "বাহ, দারুণ তো!"
ছোটখাটো জিনিসে মনোযোগ
ছোটখাটো কিছু জিনিসও যোগ করলাম। যেমন, টেবিলের ওপর সুন্দর ফুলদানি রাখলাম, দেয়ালে কিছু নকশা আঁকলাম। কোনায় একটা দুটো ইনডোর প্ল্যান্টস রাখলাম। উদ্দেশ্য ছিল একটাই – পরিবেশটাকে প্রাণবন্ত করে তোলা।
সবশেষে
সব কাজ শেষ হওয়ার পর দেখলাম, রেস্টুরেন্টটা আসলেই অন্যরকম হয়ে গেছে। মালিক আর ম্যানেজার তো মহাখুশি। তারা বললেন, "আপনি তো कमाल করে দিয়েছেন!" আমারও খুব ভালো লাগলো। মনে হলো, শুধু ইট-কাঠ-পাথর দিয়ে নয়, একটু বুদ্ধি আর ভালোবাসা দিয়ে সাজালে যেকোনো জায়গাই সুন্দর হয়ে ওঠে।
এই হলো আমার হোটেলের রেস্টুরেন্টের ভেতরের সাজানোর গল্প। আপনাদের কেমন লাগলো, জানাবেন কিন্তু।





