খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই, আজকাল সব জায়গাতেই কেমন যেন লোগোর ছড়াছড়ি। অফিসের কাগজ থেকে শুরু করে চায়ের কাপ, টি-শার্ট, মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট – সবখানেই লোগো! তো, ভাবলাম আমিও একটা বানিয়ে ফেলি। একদম ঝকঝকে, চকচকে, যাকে বলে 'হাই কোয়ালিটি'!
প্রথমে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলাম। বুঝলাম, শুধু দেখতে সুন্দর হলেই হবে না, লোগো হতে হবে একেবারে 'টু দ্য পয়েন্ট'। মানে, দেখেই যেন বোঝা যায় আমি কী করি, আমার উদ্দেশ্যটা কী।
কীভাবে শুরু করলাম?
- ব্রেইনস্টর্মিং: খাতা-কলম নিয়ে বসলাম। মাথায় যত চিন্তা-ভাবনা, সব টুকে ফেললাম। আমি আসলে কী বোঝাতে চাইছি? আমার মূলমন্ত্রটা কী?
- রিসার্চ: অন্যেরা কেমন লোগো বানাচ্ছে, সেটা দেখলাম। কোন রঙটা বেশি চোখে লাগে, কোন ডিজাইনটা বেশি চলছে, সেগুলো একটু খেয়াল করলাম।
- স্কেচিং: মাথায় যা যা আইডিয়া এল, সব খসখস করে এঁকে ফেললাম। কোন ডিজাইনটা কেমন দেখাচ্ছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করলাম।
ডিজাইন যখন ফাইনাল
অনেক কাটাকুটির পর, একটা ডিজাইন মনে ধরল। ভাবলাম, এটাই চূড়ান্ত করব।
- সফটওয়্যার: একটা ভালো ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করলাম।
- রঙ: এমন কিছু রঙ বেছে নিলাম, যেটা আমার কাজের সঙ্গে মানানসই।
- টাইপোগ্রাফি: লেখার স্টাইলটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটা ফন্ট বাছলাম, যেটা পড়তে সুবিধা, আবার দেখতেও সুন্দর।
ফাইনাল টাচ
ডিজাইন তো হল, কিন্তু এখানেই শেষ নয়। একদম নিখুঁত করতে আরও কিছু কাজ বাকি।
- রিভিউ: বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের দেখালাম। তাদের মতামত নিলাম।
- রিফাইন: সবার মতামত নিয়ে, ডিজাইনে আরও কিছু পরিবর্তন আনলাম।
- হাই-রেজোলিউশন: লোগোটা যাতে ফেটে না যায়, তাই অনেক হাই কোয়ালিটিতে সেভ করলাম।
ব্যস, হয়ে গেল আমার এইচডি লোগো! এখন যেখানেই ব্যবহার করি না কেন, একদম ফাটাফাটি দেখায়!





